ট্রাভার্স সার্ভে:
কোন মৌজার নক্সা সম্পূর্ণ নতুন করে প্রস্তত করার জন্য যে কাঠামো স্থাপন করা হয় তাহাই ট্রাভার্স সার্ভে। এ স্তরে মৌজা সীমানা বরাবর অনেকগুলো ট্রাভার্স ও সাব ট্রাভার্স পয়েন্ট বসানো হয় যা জিএনএসএস যন্ত্রের মাধ্যমে পৃথিবীর কোন স্থায়ী পয়েন্টের সাপেক্ষে নতুন স্থাপিত পয়েন্টের অবস্থান নির্মিত হয়।
খসড়া প্রকাশনা (ডিপি) ও আপত্তি দয়ের:
তসদিক কাজ সম্পাদনের পর নকশা ও রেকর্ড প্রজাসাধারণের/ ভূমি মালিকগণের দেখার জন্য ৩০ দিন উন্মুক্ত রাখা হয়। এই সময়কাল উল্লেখ করে ক্যাম্প অফিস হতে বিজ্ঞপ্তিও প্রচার করা হয়। ভূমি মালিকগণের নামের আদ্যাখ্যর অনুযায়ী খতিয়ান বা পর্চা বর্ণনাক্রমিক ক্রমবিকাশ করে খতিয়ানে নতুন নম্বর দেওয়া হয়। তাই তসদিককৃত খতিয়ানের নতুন নম্বর অর্থাৎ ডিপি নম্বরটি সংগ্রহের জন্যও ভূমি মালিকগণকে নিজ নিজ পর্চাসহ খসড়া প্রকাশনা (ডিপি) ক্যাম্পে উপস্থিত হতে হয়। ডিপিতে প্রকাশিত খতিয়ান সম্পর্কে কারো কোন আপত্তি বা দাবী থাকলে সরকার নির্ধারিত ১০ টাকার কোর্ট ফি লাগিয়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে ১৯৫৫ সালের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ৩০ বিধিতে আপত্তি কেস দায়ের করা যায়। প্রজাস্বত্ত্ব বিধিমালা ১৯৫৫ সনের ২৯ বিধি মোতাবেক খসড়া প্রকাশনার (ডিপি) কাজ করা হয়।
আপত্তি কেস শুনানী:
ডিপি চলাকালে গৃহীত আপত্তি মামলা সমূহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে নোটিশ মারফত জ্ঞাত করে নির্দ্দিষ্ট তারিখ, সময় ও স্থানে শুনানী গ্রহণ করে নিস্পত্তি করা হয়। আপত্তি কেসের নোটিশ পেলে আপত্তি অফিসারের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে কাগজ-পত্র ও যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের সুযোগ থাকে। পক্ষগণ নিজ নিজ দাবী আপত্তি অফিসারের নিকট উপস্থাপন করতে পারেন। আপত্তি অফিসার পক্ষগণকে শুনানী দিয়ে রায়/ আদেশ কেস নথিতে লিপিবদ্ধ করে তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন এবং খতিয়ান বা রেকর্ডে প্রয়োজনীয় সংশোধন করবেন। সমাপ্ত হলে মৌজা ওয়ারী আপত্তি কেস শুনানী শুরু হয়। প্রতিটি আপত্তি কেসের রায়ের নকল কপি উঠানো যায়। প্রজাস্বত্ত্ব বিধিমালা ১৯৫৫ সনের ৩০ বিধি মোতাবেক আপত্তি কেস শুনানীর কাজ করা হয়।
জরুরি জ্ঞাতব্য: