Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd সেপ্টেম্বর ২০২৪

মহাপরিচালকের বার্তা

 

          ভূমি জরিপের ইতিহাস প্রকৃতপক্ষে অনেক পুরাতন। খ্রীষ্টপূর্ব ৫০০ অব্দে রচিত কৌটিল্যের অর্থ শাস্ত্রে ভূমি জরিপের নিদর্শন পাওয়া যায়। ভূমির সাথে মানুষের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ভূমিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। ভূমি মানুষের পরম ও চরম সম্পদ। ভূমিকে মানুষ প্রাণের মত ভালবাসে। তাই সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনা একটি দেশ ও জাতির সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশে এ গুরু দায়িত্বটি পালন করে আসছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর মানুষের ভূমির মালিকানা স্বত্ত্ব নির্ধারণ করে পর্চা বা খতিয়ান ও নকশা প্রণয়ন করে। পর্চা বা খতিয়ানে মানুষের ভূমি-স্বত্ত্ব লিপিবদ্ধ হয় বলে একে স্বত্ত্বলিপি বলে। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ভূমি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতি চলে আসছে। তবে বর্তমান পদ্ধতি চালু হয় এদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে। ১৮৭৫ সনে সার্ভে এ্যাক্ট এবং ১৮৮৫ সনে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকে এ দেশে ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে শুরু হয়। তবে ১৭৯৩ সনে প্রণীত ভূমি জরিপের কিছু ম্যাপ আজও ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের রেকর্ড রুমে সংরক্ষিত আছে। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর জনগণের প্রতিখন্ড ভূমিকে ভিন্ন ভিন্ন প্লটে বিভক্ত করে মৌজা নকশা তৈরী করে এবং প্রত্যেক প্লটে দাগ নাম্বার বসিয়ে নকশা ও পর্চা বা খতিয়ানের সমন্বয়ে জনগণের ভূমি স্বত্ত্বকে চিহিুত করে। এভাবেই ভূমির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া সচল থাকে।

         ভূমি ব্যবস্থাপনাকে সনাতন পদ্ধতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে আধুনিকায়নে ভূমি জরিপে চালু  ডিজিটাল পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে খতিয়ান মুদ্রণ, নকশা মুদ্রণ ও নকশা প্রস্তুত কার্যক্রম চলছে। তাতে অতি দ্রুততম সময়ে নিখুঁত ও নির্ভুল নকশা ও খতিয়ান প্রস্ত্তত করা সম্ভব হচ্ছে। 

ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের নবনির্মিত ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে জনগণের সেবা সহজলভ্য করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণ তার সেবা পাবে  এবং প্রয়োজনীয় মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করে এ সাইটকে সমৃদ্ধ করবে এ প্রত্যাশায়

 

 

মহাপরিচালক

   (গ্রেড-১)