বাংলাদেশ এর আর্ন্তজাতিক সীমানা নির্ধারন বিষয়ে প্রতিবেদন
১। বাংলাদেশ এর আর্ন্তজাতিক সীমানা কত কিলোমিটার এবং সংশ্লিষ্ট সীমানার নামসহ বিবরণ দিন।
১৯৪৮ সালের ৬-১৪ ডিসেম্বর তারিখে তৎকালীন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত আন্তঃডোমিনিয়ন (ওহঃবৎ উড়সরহরড়হ) সম্মেলনে ভারতের সংশি¬ষ্ট রাজ্যের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ বিভাগের সাথে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান এর ভুমি রেকর্ড ও জরিপ বিভাগের সীমানা নির্ধারন কাজের দায়িত্ব অর্পন করা হয়। ভারতের ৫টি রাজ্য যথা পশ্চিমবংগ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম এর সাথে বাংলাদেশের আন্তঃর্জাতিক সীমানা রয়েছে।
ক্রমিক নং |
সেক্টরের নাম |
দৈর্ঘ্য |
|
১. |
বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ সেক্টর |
২২৬২ কিঃ মিঃ |
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এর দায়িত্বে |
২. |
বাংলাদেশ-আসাম সেক্টর |
২৬৪ কিঃ মিঃ |
|
৩. |
বাংলাদেশ-মেঘালয় সেক্টর |
৪৩৬ কিঃ মিঃ |
|
৪. |
বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সেক্টর |
৮৭৪ কিঃ মিঃ |
|
|
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এর দায়িত্বে বাংলাদেশ-ভারত মোট সীমানা |
৩৮৩৬ কিঃ মিঃ |
|
৫. |
বাংলাদেশ-মিজোরাম সেক্টর |
৩২০ কিঃমিঃ |
|
|
বাংলাদেশ-ভারত মোট সীমানা |
৪১৫৬ কিঃমিঃ |
|
বাংলাদেশের মোট আর্ন্তজাতিক সীমানা |
৪৪২৭ কিঃমিঃ |
|
পশ্চিমবংগ, আসাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে সীমানা নির্ধারনের কাজ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর করছে। মিজোরাম রাজ্যের সীমানা নির্ধারনের কাজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর (সার্ভে অব বাংলাদেশ) করছে।
২। আর্ন্তজাতিক সীমানা সংক্রান্ত কোন বিরোধ আছে কিনা; থাকলে তার বিবরণ দিন এবং প্রতিকারের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা? বর্তমানে আর্ন্তজাতিক সীমানা নিস্পত্তি সংক্রান্ত কোন কাজ চলমান আছে কিনা; থাকলে তার বিবরণ দিন।
বাংলাদেশ-ভারত আর্ন্তজাতিক সীমানার ৩টি স্থানে অমিমাংসিত সীমানা রয়েছে। তার বিবরন নিম্নরুপঃ
(ক) অমিমাংসিত এলাকাঃ
বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ(ভারত) সেক্টরঃ
বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ(ভারত) সেক্টরের আর্ন্তজাতিক সীমানার মোট দৈর্ঘ্য ২২৬২ কিঃ মিঃ। এ সেক্টরের সাথে পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর উপজেলার দৈখাতা মৌজা এলাকায় ১.৫০ কিঃমিঃ ছাড়া সীমান্তের অবশিষ্ট অংশের সরজমিনে পিলার স্থাপনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে গত ১০-১১ নভেম্বর ২০১১ তারিখে ভারতের নতুন দিল¬ীতে অনুষ্ঠিত Joint Boundary Working Group (JBWG) জেবিডবি¬উজি’র ৪র্থ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১০-১১ জরিপ মৌসুমে যৌথ জরিপ করে দৈখাতা এলাকার ইনডেক্স ম্যাপ প্রস্তুত করে উভয় দেশের কারিগরী পর্যায়ে স্বাক্ষর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-আসাম(ভারত) সেক্টরঃ
বাংলাদেশ-আসাম(ভারত) সেক্টরের আর্ন্তজাতিক সীমানার মোট দৈর্ঘ্য ২৬৪ কিঃ মিঃ । এ সেক্টরে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার লাঠিটিলা ডুমাবাড়ী এলাকায় ৩.০০ কিঃমিঃ সীমানা ছাড়া অবশিষ্ট সকল সীমানায় সরজমিনে পিলার নির্মাণের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। গত ১০-১১ নভেম্বর ২০১১ তারিখে ভারতের নতুন দিল¬ীতে অনুষ্ঠিত ৪র্থ জেবিডবি¬উজি’র যৌথ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১০-১১ জরিপ মৌসুমে যৌথ জরিপ করে লাঠিটিলা ডুমাবাড়ী এলাকার ইনডেক্স ম্যাপ প্রস্তুত করে উভয় দেশের কারিগরী পর্যায়ে স্বাক্ষর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-মেঘালয়(ভারত) সেক্টরঃ
বাংলাদেশ-মেঘালয়(ভারত) সেক্টরের আর্ন্তজাতিক সীমানার মোট দৈর্ঘ্য ৪৩৬ কিঃমিঃ। এ সেক্টরে সম্পূর্ণ সীমানায় পিলার স্থাপনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। এ সেক্টরে কোন সীমানা অমিমাংসিত নেই।
বাংলাদেশ-ত্রিপুরা(ভারত) সেক্টরঃ
বাংলাদেশ-ত্রিপুরা(ভারত) সেক্টরের আর্ন্তজাতিক সীমানার মোট দৈর্ঘ্য ৮৭৪ কিঃমিঃ। এ সেক্টরে ফেণী জেলার পরশুরাম উপজেলার মুহুরী নদী এলাকায় ২.০০ কিঃমিঃ ছাড়া অবশিষ্ট সকল সীমান্তে পিলার নির্মাণের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১০-১১ নভেম্বর ২০১১ তারিখে ভারতের নতুন দিল¬ীতে অনুষ্ঠিত ৪র্থ জেবিডবি¬উজি’র যৌথ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১০-১১ জরিপ মৌসুমে যৌথ জরিপ করে মুহুরী নদী এলাকার ইনডেক্স ম্যাপ প্রস্তুত করে উভয় দেশের কারিগরী পর্যায়ে স্বাক্ষর করা হয়েছে।
এ সেক্টরের মোট ২.০০ কিঃ মিঃ অমিমাংসীত মুহুরীর চর এলাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের যৌথ অনুরোধের প্রেক্ষিতে ভারতের বিলোনিয়া শহর রক্ষা বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণের নিমিত্ত ২০১৩-১৪ মাঠ মৌসুমে যৌথ জরিপ করে মোট ৪৪টি কাঠের/ বাঁশের খুঁটি স্থাপন করে সীমানা রিলে করা হয়েছে। উভয় দেশের সরকারের সম্মতি পেলে সরজমিনে পাকা পিলার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। তবে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক পত্রের মাধ্যমে ভারতের সংসদে চুক্তি এবং প্রটোকল অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত অমিমাংসিত এলাকায় কোন ধরনের কর্মসূচী প্রনয়ণ না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
বাংলাদেশ-ভারত আর্ন্তজাতিক সীমানার অপদখলীয় ভূমির বিবরন নিম্নরুপঃ
(খ) অপদখলীয় এলাকাঃ
বাংলাদেশ-ভারত আর্ন্তজাতিক সীমানার ২৭৭৭.১৪ একর বাংলাদেশের ভূমি ভারতের অপদখলে এবং ২২৬৭.৮৮ একর ভারতের ভূমি বাংলাদেশের অপদখলে রয়েছে। উভয় দেশের অপদখলীয় ভূমির বিবরন নিম্নরুপঃ
বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ(ভারত) সেক্টরঃ
জেবিডবি¬উজি’র ৪র্থ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১০-১১ জরিপ মৌসুমে বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ(ভারত) সেক্টরে জরিপ করে বাংলাদেশের ৫টি স্থানে ২৩৯৮.০৫ একর ভূমি ভারতের অপদখলে এবং ভারতের ৩টি স্থানে ১৯৫৭.৫৯ একর ভূমি বাংলাদেশের অপদখলে রয়েছে। জরিপকৃত অপদখলীয় ভূমির ইনডেক্স ম্যাপ প্রস্তুত করে উভয় দেশের কারিগরী পর্যায়ে স্বাক্ষর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-আসাম(ভারত) সেক্টরঃ
জেবিডবি¬উজি’র ৪র্থ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১০-১১ জরিপ মৌসুমে বাংলাদেশ-আসাম(ভারত) সেক্টরে ভারতের ২টি স্থানে ২৬৮.৫৯ একর ভূমি বাংলাদেশের অপদখলে রয়েছে। এ সেক্টরে বাংলাদেশের কোন ভূমি ভারতের অপদখলে নেই। জরিপকৃত অপদখলীয় ভূমির ইনডেক্স ম্যাপ প্রস্তুত করে উভয় দেশের কারিগরী পর্যায়ে স্বাক্ষর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-মেঘালয়(ভারত) সেক্টরঃ
জেবিডবি¬উজি’র ৪র্থ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১০-১১ জরিপ মৌসুমে বাংলাদেশ মেঘালয় (ভারত) সেক্টরে বাংলাদেশের ৭টি স্থানে ২৪০.৬৮ একর ভূমি ভারতের অপদখলে এবং ভারতের ১টি স্থানে ৪১.৭০ একর ভূমি বাংলাদেশের অপদখলে রয়েছে। জরিপকৃত অপদখলীয় ভূমির ইনডেক্স ম্যাপ প্রস্তুত করে উভয় দেশের কারিগরী পর্যায়ে স্বাক্ষর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ত্রিপুরা(ভারত) সেক্টরঃ
জেবিডবি¬উজি’র ৪র্থ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১০-১১ জরিপ মৌসুমে বাংলাদেশ-মেঘালয় (ভারত) সেক্টরে বাংলাদেশের ১টি স্থানে ১৩৮.৪১ একর ভূমি ভারতের অপদখলে রয়েছে। এ সেক্টরে ভারতের কোন জমি বাংলাদেশের অপদখলে নেই। জরিপকৃত অপদখলীয় ভূমির ইনডেক্স ম্যাপ প্রস্তুত করে উভয় দেশের কারিগরী পর্যায়ে স্বাক্ষর করা হয়েছে।
গ) ছিটমহল (Enclaves) হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ঃ
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহলের মোট ১৭১৬০.৬৩ একর ভূমি রয়েছে এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের ৭,১১০.০২ একর ভারতের ভূমি রয়েছে। ছিটমহলসমূহ উভয় দেশের মধ্যে বিনিময়ের লক্ষ্যে জেবিডবি¬উজি’র ৪র্থ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১০-১১ জরিপ মৌসুমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলে হেড কাউন্টিং এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যৌথ হেডকাউন্টিং এর সার্বিক তথ্য/ রেকর্ড বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর এর কার্যালয়ে রক্ষিত আছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহলের জনসংখ্যা ৩৭,৩৬৯ জন এবং ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের জনসংখ্যা ১৪,০৯০ জন। ৬ সেপ্টম্বর, ২০১১ তারিখে স্বাক্ষরিত ১৯৭৪ সালের স্থল সীমানা চুক্তির (LBA 1974) প্রটোকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অপদখলীয় ভূমি জরিপ এবং সংশ্লিষ্ট বাউন্ডারি স্ট্রিপ ম্যাপসমূহ দুই দেশের প্লে¬নিপোটেনশিয়ারি কর্তৃক স্বাক্ষর ছিটমহল বিনিময়ের সাথে যুগপৎভাবে হবে।
অমিমাংসিত, অপদখলীয় এলাকার সীমানা নির্ধারনসহ ছিটমহল বিনিময়সহ সীমানা সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিস্পন্ন বিষয়ের নিস্পত্তির জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কাজ চলমান রয়েছে।
৪। এ পর্যন্ত সীমানা সংক্রান্ত কতটি স্ট্রিপ ম্যাপ প্রস্তুত হয়েছে এবং সংরক্ষিত আছে তার একটি বিবরন দিন।
জেবিডবি¬উজি’র ৪র্থ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ (ভারত) সেক্টরের ৬২৮টি স্ট্রিপ ম্যাপের মধ্যে ৬০৬ টি, বাংলাদেশ-আসাম (ভারত) সেক্টরের ৯৩টি স্ট্রিপ ম্যাপের মধ্যে ৮৯টি, বাংলাদেশ-মেঘালয় (ভারত) সেক্টরের ১৩৯টি স্ট্রিপ ম্যাপের মধ্যে ১৩২টি এবং বাংলাদেশ-ত্রিপুরা (ভারত) সেক্টরের ২৬৯টি স্ট্রিপ ম্যাপের মধ্যে ২৬৭টি ম্যাপসহ মোট ১০৯৪টি বাউন্ডারি স্ট্রিপ ম্যাপ উভয় দেশের পে¬নিপোটেনশিয়ারি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উভয় দেশের মধ্যে বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে।
অমিমাংসিত এবং অপদখলীয় ভূমির কারণে মোট ৩৫টি বাউন্ডারি স্ট্রিপ ম্যাপ উভয় দেশের পে¬নিপোটেনশিয়ারি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হয় নাই।
৫। বিভিন্ন পিলারের বিবরন দিন।
বাংলাদেশ -ভারত সীমানা নির্ধারন এর পর সীমান্তের শূন্য লাইনে বিভিন্ন প্রকারের পিলার নির্মান করা হয়। যেমনঃ মেইন পিলার, সাব-সিডিয়ারী পিলার, রেফারেন্স পিলার এবং টি শেপড পিলার। সাধারনত ২/৩ কিঃ মিঃ পর পর স্পষ্ট বাঁকে মেইন পিলার, দুইটি মেইন পিলাররে মাঝে সাব-সিডিয়ারী পিলার এবং আরো ছোট ছোট বাঁকে কোথাও কোথাও টি শেপড পিলার নির্মান করা হয়। এ ছাড়া নদী এলাকায় যেখানে নদীর মাঝখান দিয়ে সীমানা চলে গেছে সেখানে উভয় দেশের অভ্যন্তরে রেফারেন্স পিলার নির্মান করা হয়। এ ছাড়া নদী এলাকায় যেখানে নদী শুকিয়ে গেছে সেখানে শূন্য লাইনে পোল টাইপ পিলার নির্মান করা হয়।
৬। বিভিন্ন চুক্তির বিবরন দিন।
বাংলাদেশ-ভারত সীমানা নির্ধারনের কাজ নিম্ন বর্ণিত চুক্তি সমূহের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হচ্ছে -
(SHAIKH-SWARANSING AGREEMENT 1959)
26 December, 30 December 1974
7 October 1982
26 March 1992
10. Protocol to 1974 LBA 6 September 2011
৭। প্রটোকল সংক্রান্ত তথ্যের বিবরণ দিন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ খ্রিঃ তারিখে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে উভয়দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ১৯৭৪ সালের স্থল সীমানা চুক্তির (LBA1974) একটি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত প্রটোকল বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি এবং ভারতের পক্ষে সে দেশের তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা। প্রটোকলের আলোকে উভয় দেশের ৩১ টি স্ট্রিপ সিটের ১৬টি অপদখলীয় স্থানে সীমানা পূনঃনির্ধারন এবং ৪টি স্ট্রিপ সিটের ৩ টি অমিমাংসিত স্থানে সীমানা নির্ধারন করতে হবে। এই অপদখলীয় স্থানসমূহের সীমানা পূনঃনির্ধারন এবং অমিমাংসিত স্থানের সীমানা নির্ধারনেনর পর স্ট্রিপ সিটসমূহ পে¬নিপোটেনশিয়ারী কর্তৃক স্বাক্ষর ছিটমহল বিনিময়ের সাথে যুগপৎভাবে (Simultaneously) করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রটোকলে গৃহীত সিদ্ধান্ত নিুরূপঃ
“The relevant strip maps will be printed and signed by the Plenipotentiaries and transfer of territorial jurisdiction shall be completed simultaneously with the exchange of the enclaves.
উল্লেখ্য যে ১৯৭৪ সালের স্থল সীমানা চুক্তি (LBA1974) ও প্রটোকল ২০১১ ভারত সরকার এখনও রেটিফাই করে নাই। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের স্থল সীমানা চুক্তি রেটিফাই করলেও প্রটোকল ২০১১ এখনো রেটিফাই করে নাই।